বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স ব্যবসা যদিও অনেক আগে থেকে রয়েছে, তথাপিও এটি বিকশিত হয়েছে মুলত ২০১৫ সালের শুরু থেকে। “ই-কমার্স এসাসিয়েশন অব বাংলাদেশ” (ই-ক্যাব) প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে এ সেক্টরে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি বা অনলাইনে পন্য ক্রয় বিক্রয় সম্পর্কে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যুগোপযোগী নতুন কর্মসংস্থানের তাগিদে অনেক নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে এই খাতে। কেউ ফেজবুক ব্যবহার করে, কেউ মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে নতুন এই ব্যবসার গতি সঞ্চার করেছে। পাশাপাশি অনলাইনে প্রচারের ফলে অনেকেই এখন পন্য কিনতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন। আমি নিজেও একজন উদ্যোক্তা একটি মার্কেট প্লেস স্থাপনের চেষ্টা করছি। যদিও এটি একটি কঠিন কাজ তথাপিও চেষ্টার ত্রুটি করছিনা। মার্কেট প্লসে বিক্রেতারা যে সুবিধা পাচ্ছে তাতে তাদের সুবিধা বৈ অসবিধা নয়। কেননা একটি ওয়েব সাইট পরিচালনা করা অত্যান্ত ঝামেলাপূর্ণ এবং অনেক বিনিয়োগের বিষয় রয়েছে। একজন মার্চেন্ট যখন শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন করেই তার ইকমার্স ব্যবসার সম্পূর্ন টুলস পেয়ে যাচ্ছেন তাতে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি অনেক সুবিধার। তবে এটিও ঠিক যে ওয়েব কর্তৃপক্ষ তাদের সেল এনসিওর করা আবশ্যক। কেননা সেল না হলে মার্চেন্ট মার্কেটপ্লেসে থাকবে কেন?। তাছাড়া অনেক মার্কেট প্লেস বিক্রেতার পন্য নিজেদের কাছে নিয়ে সিওর হয় যে তারা পন্যটি কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অনেকদিন ধরে পন্যটি সেল না হওয়ায় বিক্রেতা তার পন্যটির চাহিদা মূল্য বা ক্যাশ আটকে রাখা পছন্দ করছেন না। সেক্ষত্রে একজন বিক্রেতা একধিক মার্কেটপ্লেস ব্যবহারের সুবিধা থাকায় একটা বিক্রয় না হলে অন্যটাতে বিক্রয় হবে সেটি অবশ্যই একটা সুবিধা। আমার মার্কেট প্লেসে বিক্রেতার টাকা আটকানোর কোন বিষয় থাকছে না। কারন পন্যটি থাকছে বিক্রেতার কাছে, আমরা অর্ডার কনফার্ম করে বিক্রেতাকে ক্যাশ অন ডেলিভেরীতে পাঠাতে বলছি। সেক্ষত্রে টাকা বিক্রেতার কাছে চলে যাচ্ছে। মার্কেট প্লেসে একই পন্য অনেকেই উপস্থাপন করতে পারেন সেক্ষত্রে বিক্রেতাদের নজরে অবশ্যই পন্যের দাম সম্পর্কে সচেতন থাকতে হচ্ছে। কেননা তার মত একই পন্য অনজনেও সেল করতে পারে। সুতরাং দামের বিষয়ে একটি নিরব প্রতিযোগীতা থাকছে। একারনে মার্কেটপ্লেসে ক্রেতাদের কেনাও সুবিধা হবে বলে মনে করছি। আমি নিজে একজন উদ্যোক্তা হিসাবে কখনই চাইবনা কোন ক্রেতা তার পন্য কিনে হয়রানির মধ্যে পড়ুন। প্রত্যেক সেলারের সাথে আমরা যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি যেন তারা কোনভাবে ক্রেতাকে না ঠকায়। এখন পর্যন্ত যে সব পন্য আমাদের সাইটে প্রদর্শিত রয়েছে তার গুনগত মান এবং দামের সাথে যথেষ্ট সামঞ্জস্য রয়েছে। পরিশেষে বলতে চাই ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস বিশ্ববাজরে প্রবেশেও গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করতে পারে যদি দেশীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমুহ আমাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের পন্যসমুহ উপস্থাপন এবং প্রসারে আমাদের সহযোগীতা করে। প্রশান্ত কুমার মন্ডল, http://13.251.115.118